বাংলাখবর

গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের যে নির্দেশনা দিলেন তারেক রহমান

বাংলা খবর ঢাকা : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান নিজ নিজ কাজের মাধ্যমে জনগণের বিশ্বাস, ভালোবাসা অর্জনের পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে থাকার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা বলতে চাই সংস্কার কার্যক্রমের পথ ধরে দেশ নির্বাচনী রোডম্যাপে উঠবে। সুতরাং, আসুন, আমরা সবাই কাজের মাধ্যমে জনগণের বিশ্বাস ভালোবাসা অর্জন করি। জনগণের সঙ্গে থাকি। জনগণকে সঙ্গে রাখি।’

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান এ আহ্বান জানান। সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতিত্ব করেন।

সমাবেশটি গত ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করেছিলো বিএনপি। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুই দিন পিছিয়ে সমাবেশের তারিখ আজ ১৭ সেপ্টেম্বর পুনঃনির্ধারণ করা হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধু রাষ্ট্র ক্ষমতার হাত বদল নয়। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন।’

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মনে রাখা প্রয়োজন, রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের আচার-আচরণেও গুণগত পরিবর্তন জরুরি। তাই আমার আহ্বান কোনো প্রলোভন কিংবা উসকানিতে বিভ্রান্ত না হয়ে জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র এবং সমাজের নেতৃত্ব দানের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত রাখুন।’

তারেক রহমান বিশাল জনসমুদ্রে বলেন, ‘হাজারো শহিদের রক্তস্নাত এই রাজপথে আজ আপনাদের এই স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতির অর্থ ছাত্র-জনতার কাঙ্ক্ষিত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার এই যাত্রাপথে বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে হয়তো আরো ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আরও কিছু পথ পাড়ি দিতে হবে। তবে সেই পথ সন্ত্রাস-সংঘর্ষ-প্রতিশোধ কিংবা প্রতিহিংসার নয়। সেই পথ হবে ধৈর্য-সহনশীলতা এবং সমঝোতার।’  

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশ কিংবা যেকোনো দেশেই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। তাই জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে এবং রাখবে। তবে কোনো এক পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জবাবদিহিতাও কিন্তু নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সংসদ এবং সরকার প্রতিষ্ঠাই এই সরকারের সকল সংস্কার কার্যক্রমের প্রথম এবং প্রধান টার্গেটও হওয়া জরুরি।’

তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘এ জন্যই অগ্রাধিকারভিত্তিতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত জবাবদিহিমূলক সরকার এবং সংসদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া দরকার। কারণ, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া সংস্কার কার্যক্রমের প্রক্রিয়ায় জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছাড়া উন্নয়ন-গণতন্ত্র কিংবা সংস্কার কোনোটিই টেকসই এবং কার্যকর হয় না।’

তারেক রহমান বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিটি ভোটারের ভোট প্রদানের অধিকার নিশ্চিত করে ভোটারদের কাঙ্ক্ষিত প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। সেই লক্ষ্যে বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসনের সংস্কার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্ষম ও উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তবে বিএনপি মনে করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এজেন্ডা সেটিংয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে না পারলে গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্রকারী চক্র নানা সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। এর কিছু আলামত ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পর এবার দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা সুরক্ষায় প্রথম কাজ হতে হবে, রাষ্ট্র এবং সমাজে মানুষের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক অধিকার এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি ভোটার। এরমধ্যে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ভোটার তালিকায় প্রায় আড়াই কোটি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। ভোটার হওয়ার পর তরুণ প্রজন্মের এই আড়াই কোটি ভোটার একটি জাতীয় নির্বাচনেও ভোট দেয়ার সুযোগ পায়নি।

তিনি বলেন, ভোট দিয়ে তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেনি। কিংবা তাদের নিজেরাও কেউ ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়নি।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি মনে করে, দেশের জনশক্তির অর্ধেক নারী এবং তারুণ্যের এই বৃহৎ অংশকে, রাজনৈতিক অংশীদারিত্বের বাইরে রেখে একটি বৈষম্যহীন মানবিক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। সংবিধান কিংবা প্রবিধানে যাই থাকুক জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা না গেলে সংস্কার প্রক্রিয়ায় জনগণকে সম্পৃক্ত করা না গেলে শেষ পর্যন্ত কোনো সংস্কার কার্যক্রমেরই কার্যকরী ফল পাওয়া যাবেনা বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্র-রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম সংস্কারের লক্ষ্যে ২০২৩ সালেই বাংলাদেশের পক্ষের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলো। তবে ঘোষিত ৩১ দফাই শেষ কথা নয়।  

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্র কিংবা রাজনীতি, সকল ক্ষেত্রেই সংস্কার কার্যক্রম একটি ধারাবাহিক এবং চলমান প্রক্রিয়া। সুতরাং, রাষ্ট্র এবং রাজনীতি সংস্কারে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচির আরো প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিমার্জনকেও বিএনপি স্বাগত জানায়। এমনকি কেউ যদি মনে করেন, একটি উন্নত এবং নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য আরো নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন রয়েছে, তাতেও দোষের কিছু নেই। কারণ শেষ পর্যন্ত, জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাকে সমর্থন জানাবে কিংবা কাকে সমর্থন দেবেনা। এ কারণেই, বিএনপি বারবার জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার উপর জোর দিয়েছে। বিএনপি মনে করে, একমাত্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই, রাষ্ট্র- রাজনীতি এবং রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সঙ্গে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশীদারিত্ব তৈরি হয়।’

দেশনায়ক তারেক রহমান বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান কিংবা সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে রাজনীতির মাঠে নানা রকম কথা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এটি একটি স্বাভাবিক এবং গ্রহণযোগ্য রীতি। প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করবেন, এটিই স্বাভাবিক। এ নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তিনি বিশ্বাস করেন, ফৌজদারি অপরাধের বিচার যেমন বিচারিক আদালতে হয় ঠিক তেমনি রাজনৈতিক কর্মকা- কিংবা রাজনৈতিক আচরণের বিচার হয় জনগণের আদালতে।’

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী বীর জনগণকে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের বীর ছাত্র-জনতা নারী শিশু কৃষক শ্রমিক সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ সর্বস্তরের জনগণ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের জনগণ বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিতে রাজি তবু স্বৈরশাসন মেনে নিতে রাজি নয়।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা শহীদি মৃত্যুবরণ করেছেন, যারা আহত হয়েছেন, হাত-পা-চোখ হারিয়েছেন কিংবা চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ আজীবন তাদের এই আত্মত্যাগ এবং অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। হতাহতদের প্রতিটি পরিবারের প্রতি অবশ্যই রাষ্ট্র যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, লাখো শহীদের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র-রাজনীতি শাসন, প্রশাসন হওয়ার কথা ছিল ‘গভর্নমেন্ট অফ দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল, ফর দ্যা পিপল’। অথচ গত ১৫ বছর বাংলাদেশে মাফিয়া শাসন চালু করা হয়েছিল। দেশে বিদেশে পলাতক স্বৈরাচার বিনাভোটের সরকারের পরিচয় হয়ে উঠেছিল ‘গভর্নমেন্ট অফ দ্যা মাফিয়া বাই দ্যা মাফিয়া ফর দ্যা মাফিয়া’।

তিনি বলেন, এই মাফিয়া চক্র দেশকে সর্বক্ষেত্রে ভঙ্গুর করে দিয়েছিলো। দেশকে সম্পূর্ণ আমদানি-নির্ভর, ঋণ-নির্ভর এবং পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। মাফিয়া চক্র দেশের ব্যাংকগুলো দেউলিয়া করে দিয়েছে। গত দেড় দশকে দেশ থেকে ১৭ লাখ কোটি টাকার বেশি পাচার করে দিয়েছে। 
তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্টের পতিত স্বৈরাচারের বেপরোয়া দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ বর্তমানে ১০০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশে আজ যে শিশুটি জন্ম নিয়েছে কোনো কারণ ছাড়াই সেই শিশুটিরও মাথা পিছু ঋণ কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা।

তিনি বলেন, মাফিয়া চক্র দেশকে শুধু অর্থনৈতিক ভাবেই ভঙ্গুর করে দেয়নি। দেশের আর্থ-সামাজিক সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক রীতিনীতিকেও ধ্বংস করে দিয়েছে। সাংবিধানিক এবং বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান অকার্যকর করে ফেলা হয়েছিলো। খোদ ফ্যাসিবাদকেই বিচার বিভাগের সূতিকাগারে পরিণত করে ফেলা হয়েছিল। একটি রাষ্ট্র কতটা সভ্য এবং গণতান্ত্রিক সেটি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আচরণে তা স্পষ্ট হয়ে উঠে। কিন্তু মাফিয়া চক্র দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত করে দিয়েছে।  

তারেক রহমান বলেন, অন্যায় অনিয়ম আর অরাজকতার বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণে মাফিয়া চক্রের প্রধান দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশে মাফিয়া শাসন-শোষণের অবসান ঘটেছে। পতিত স্বৈরাচারের পলায়নের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক-মানবিক বাংলাদেশ গড়ার পথে প্রধান বাধা দূর হয়েছে। তবে বাধা দূর হলেও মাফিয়া চক্রের রেখে যাওয়া ১৫ বছরের জঞ্জাল দূর হয়নি।

তিনি বলেন, ‘এই জঞ্জাল দূর করে জনগণের বাংলাদেশে জনগণের ভোটে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। তবে মাফিয়া চক্রের প্রধান শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালেও মাফিয়া চক্রের সুবিধাভোগী অপশক্তি প্রশাসনের অভ্যন্তরে থেকে কিংবা রাজনীতির ছদ্মাবরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে লাখো কোটি জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘এই সরকারের কোনো কোনো কার্যক্রম সকলের কাছে হয়তো সাফল্য হিসেবে বিবেচিত নাও হতে পারে, কিন্তু এই সরকারের ব্যর্থতা হবে আমাদের সকলের ব্যর্থতা। বাংলাদেশের পক্ষের গণতন্ত্রকামী জনগণের ব্যর্থতা। এটি আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে। সুতরাং এই সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবেনা। দেশ-বিদেশ থেকে নানা রকমের উস্কানিতেও জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবেনা। তবে এই সরকার যাতে নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সে ব্যপারে তাদেরকেও সতর্ক থাকতে হবে।’  

এর আগে মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার পর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপির হাজার-হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হন। 
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু
প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু

প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু

লন্ডনে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানালেন তারেক রহমান
লন্ডনে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানালেন তারেক রহমান

লন্ডনে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানালেন তারেক রহমান

বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া, রাস্তায় নেতাকর্মীদের ঢল
বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া, রাস্তায় নেতাকর্মীদের ঢল

বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া, রাস্তায় নেতাকর্মীদের ঢল

লন্ডনে খালেদা জিয়াকে দেওয়া হবে ভিআইপি প্রটোকল
লন্ডনে খালেদা জিয়াকে দেওয়া হবে ভিআইপি প্রটোকল

লন্ডনে খালেদা জিয়াকে দেওয়া হবে ভিআইপি প্রটোকল

দীর্ঘ ৭ বছর পর দেখা হবে মা-ছেলের
দীর্ঘ ৭ বছর পর দেখা হবে মা-ছেলের

দীর্ঘ ৭ বছর পর দেখা হবে মা-ছেলের

ছাত্রদের উদ্দেশে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ছাত্রদের উদ্দেশে যা বললেন মির্জা ফখরুল

ছাত্রদের উদ্দেশে যা বললেন মির্জা ফখরুল

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ২৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে: মির্জা ফখরুল
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ২৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে: মির্জা ফখরুল

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ২৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে: মির্জা ফখরুল

‘গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন’
‘গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন’

‘গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন’

৫ আগস্টের পর ইসলামী ব্যাংকগুলো দখল করেছে একটি রাজনৈতিক দল: রিজভী
৫ আগস্টের পর ইসলামী ব্যাংকগুলো দখল করেছে একটি রাজনৈতিক দল: রিজভী

৫ আগস্টের পর ইসলামী ব্যাংকগুলো দখল করেছে একটি রাজনৈতিক দল: রিজভী

খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশ নিতে আইনি বাধা নেই
খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশ নিতে আইনি বাধা নেই

খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশ নিতে আইনি বাধা নেই

সবচেয়ে বিতর্কিত ফাইলগুলো পুড়ে গেছে: রিজভী
সবচেয়ে বিতর্কিত ফাইলগুলো পুড়ে গেছে: রিজভী

সবচেয়ে বিতর্কিত ফাইলগুলো পুড়ে গেছে: রিজভী

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে সরকারের বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়া অস্বাভাবিক নয়: ফখরুল
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে সরকারের বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়া অস্বাভাবিক নয়: ফখরুল

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে সরকারের বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়া অস্বাভাবিক নয়: ফখরুল