বাংলাখবর

লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তিতে বাধা নেই

বাংলা খবর ঢাকা : আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় খালাস পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামি। এতে করে তার কারামুক্তিতে আর বাধা নেই।

আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের বেঞ্চ এ রায় দেন। ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে তারা এ আদেশ দেন।

বাবরের খালাস চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। অপর পাঁচজন আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় চোরাচালান মামলায় ফাঁসির সাজা থেকে গত ১৮ ডিসেম্বর খালাস পান বাবরসহ ছয় আসামি। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অপর ছয় আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এর আগে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় গত ৬ নভেম্বর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। ওই দিন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ কয়েকজন আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। বাবরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অপর দিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়া-তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়া-তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়া-তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তিতে বাধা নেই
লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তিতে বাধা নেই

লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তিতে বাধা নেই

আগের চেয়ে ভালো আছেন খালেদা জিয়া : ব্যক্তিগত চিকিৎসক
আগের চেয়ে ভালো আছেন খালেদা জিয়া : ব্যক্তিগত চিকিৎসক

আগের চেয়ে ভালো আছেন খালেদা জিয়া : ব্যক্তিগত চিকিৎসক

ট্রাম্পের ব্রেকফাস্টে আমন্ত্রণ পেলেন তারেক, ফখরুল ও খসরু
ট্রাম্পের ব্রেকফাস্টে আমন্ত্রণ পেলেন তারেক, ফখরুল ও খসরু

ট্রাম্পের ব্রেকফাস্টে আমন্ত্রণ পেলেন তারেক, ফখরুল ও খসরু

প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু
প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু

প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু

লন্ডনে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানালেন তারেক রহমান
লন্ডনে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানালেন তারেক রহমান

লন্ডনে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানালেন তারেক রহমান

বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া, রাস্তায় নেতাকর্মীদের ঢল
বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া, রাস্তায় নেতাকর্মীদের ঢল

বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া, রাস্তায় নেতাকর্মীদের ঢল

লন্ডনে খালেদা জিয়াকে দেওয়া হবে ভিআইপি প্রটোকল
লন্ডনে খালেদা জিয়াকে দেওয়া হবে ভিআইপি প্রটোকল

লন্ডনে খালেদা জিয়াকে দেওয়া হবে ভিআইপি প্রটোকল

দীর্ঘ ৭ বছর পর দেখা হবে মা-ছেলের
দীর্ঘ ৭ বছর পর দেখা হবে মা-ছেলের

দীর্ঘ ৭ বছর পর দেখা হবে মা-ছেলের

ছাত্রদের উদ্দেশে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ছাত্রদের উদ্দেশে যা বললেন মির্জা ফখরুল

ছাত্রদের উদ্দেশে যা বললেন মির্জা ফখরুল

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ২৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে: মির্জা ফখরুল
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ২৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে: মির্জা ফখরুল

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ২৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে: মির্জা ফখরুল

‘গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন’
‘গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন’

‘গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন’