বাংলাখবর
নারীর আয়রন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা
বাংলা খবর ডেস্ক : গর্ভাবস্থায় নারীদের আয়রনের অনেক প্রয়োজন হয়। এ সময় শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং গর্ভের শিশুর জন্যও বাড়তি অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহের প্রয়োজন হয়। আয়রন হেমোগ্লোবিন তৈরি করতে সহায়তা করে, যা রক্তের লোহিত কণিকার মূল উপাদান। তাই গর্ভাবস্থায় আয়রনের অভাব হলে রক্তস্বল্পতা (এনিমিয়া) হতে পারে, যা মা ও শিশু– উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
তবে গর্ভাবস্থার পরও নারীদের আয়রনের প্রয়োজনীয়তা কমে যায় না। নিয়মিত আয়রন গ্রহণ নারীর সাধারণ স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। রজঃস্বলা নারীদের প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্তক্ষরণ হয়, যা আয়রনের লেভেল কমিয়ে দেয়। এর ফলে তাদের আয়রনের অভাবজনিত সমস্যা, যেমন– দুর্বলতা, ক্লান্তি ও এনিমিয়া হতে পারে।
আয়রনের ঘাটতি পূরণে নারীদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পালংশাক, মুরগির মাংস, ডিম, লিভার, লাল মাংস, শিম, বাদাম এবং বিভিন্ন ধরনের দানা আয়রনের চমৎকার উৎস। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন– লেবু, কমলা এবং টমেটো আয়রনের শোষণ বাড়াতে সহায়তা করে।
তাই এগুলোও খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। গর্ভাবস্থার পর বিশেষত মেনোপজের সময়ও আয়রনের প্রয়োজন থাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের আয়রন শোষণ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই এ সময়ে আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা লাগতে পারে। এ ছাড়া কিশোরীদের জন্য আয়রন খাওয়া খুবই জরুরি। কিশোরী বয়সে শরীর দ্রুত বাড়ে এবং রক্তের পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই আয়রনের প্রয়োজনীয়তা বেশি থাকে। বিশেষ করে মেয়েদের মাসিক ঋতুচক্রের কারণে শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হয়, যা আয়রনের চাহিদা আরও বাড়িয়ে দেয়।
শুধু গর্ভাবস্থায় নয়, কিশোরী বয়স থেকে শুরু করে নারীদের সারাজীবনই আয়রন ও আয়রনজাত খাবার গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে না, বরং সামগ্রিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও সহায়তা করে।
সাবধানতা
অতিরিক্ত আয়রন সেবনে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তাই আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। তবে ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক আয়রনের উৎসগুলো প্রতিদিন কমবেশি সারাদিনের খাবারের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবেন। অনেকেই আছেন, আয়রন বা আয়রনযুক্ত খাবার খেলে পেটে তীব্র গ্যাস হয়। সে ক্ষেত্রে পেটব্যথা, বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা, ক্ষুধামান্দ্য, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এ রকম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্যাসের ওষুধ সেবন করতে হবে।
লেখক : ফার্মাসিস্ট।
এই বিভাগের আরও খবর
করোনার মতো মহামারির শঙ্কা, নতুন ভাইরাস কতটা উদ্বেগের…
করোনার মতো মহামারির শঙ্কা, নতুন ভাইরাস কতটা উদ্বেগের…
চীনে নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ,বাড়ছে উদ্বেগ
চীনে নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ,বাড়ছে উদ্বেগ
কেমোথেরাপির সময় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়
কেমোথেরাপির সময় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়
বিনামূল্যে ক্যানসার টিকা দিচ্ছে রাশিয়া
বিনামূল্যে ক্যানসার টিকা দিচ্ছে রাশিয়া
প্রথমবারের মতো মানবদেহে ডাবল ফুসফুস প্রতিস্থাপন করল রোবট
প্রথমবারের মতো মানবদেহে ডাবল ফুসফুস প্রতিস্থাপন করল রোবট
বিশ্বে ৮০ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত
বিশ্বে ৮০ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত
ফ্লোরিডায় বিরল ‘মাংসখেকো’ ব্যাকটেরিয়ায় ১৩ জনের মৃত্যু
ফ্লোরিডায় বিরল ‘মাংসখেকো’ ব্যাকটেরিয়ায় ১৩ জনের মৃত্যু
১০০ বছরের প্রচেষ্টায় ম্যালেরিয়ামুক্ত মিসর
১০০ বছরের প্রচেষ্টায় ম্যালেরিয়ামুক্ত মিসর
ছড়িয়ে পড়ছে মরণব্যাধি মারবার্গ ভাইরাস, নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে
ছড়িয়ে পড়ছে মরণব্যাধি মারবার্গ ভাইরাস, নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে
ডেঙ্গুতে চব্বিশ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু
ডেঙ্গুতে চব্বিশ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮২৯ জন
ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮২৯ জন
ডিমেনশিয়া নির্ণয় এবং পরবর্তী পদক্ষেপ
ডিমেনশিয়া নির্ণয় এবং পরবর্তী পদক্ষেপ