বাংলাখবর
ডিমেনশিয়া নির্ণয় এবং পরবর্তী পদক্ষেপ
বাংলা খবর ডেস্ক : ডিমেনশিয়া বা ভুলে যাওয়া শুধু রোগের লক্ষণ নয়, একই সঙ্গে মস্তিষ্কের অন্যান্য কার্যক্ষমতা লোপ পাওয়ার লক্ষণও প্রকাশিত হয়। প্রতিবছর ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় দিবসটি। এবারও পালিত হলো। প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- ‘ডিমেনশিয়া জানুন, আলঝেইমারকে জানুন’।
সাধারণত সাধারণত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হন। ষাটোর্ধ্ব প্রতি ২০ জনে ১ জন ডিমেনশিয়া রোগে ভুগে থাকেন। আশি বয়সের বেশি প্রতি ৫ জনে ১ জন এ রোগে আক্রান্ত হন। ক্ষেত্রবিশেষে ষাটের কম বয়সী মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এ রোগে ভাষাগত ও আচারণগত সমস্যা, ব্যক্তিত্বের সমস্যা, বুদ্ধিমত্তা লোপ, মনোবৈকল্য ইত্যাদি লক্ষণ ক্রমাগতভাবে পরিলক্ষিত হয়।
রোগের কারণ : মস্তিষ্কের নিউরন শুকিয়ে যাওয়া, অ্যালঝেইমারস ডিজিজ, পারকিনসন ডিজিজ, বারবার স্ট্রোক (মাল্টি ইনফার্স্ট ডিমেনশিয়া), ভিটামিনজনিত অভাব (ভিটামিন বি-১২), মস্তিষ্কের সংক্রমণ (এইডস, নিউরো-সিফিলিস, ব্রেইন টিউমার ইত্যাদি), মাথায় আঘাত, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা, নরমাল প্রেসার হাইড্রোসেফালাস, দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, জেনেটিক বা বংশগত কারণ, মাদকাসক্তি (অ্যালকোহল, ইয়াবা সেবন), বিষণ্নতা ইত্যাদি।
প্রধান লক্ষণ : স্মৃতিশক্তি লোপ, প্রতিদিনের কাজের বিভ্রান্তি, ভাষাগত সমস্যা, সময় ও স্থান চিহ্নিত করতে অপারগতা, বিচার-বিবেচনার মাত্রা কমে যাওয়া, অন্যমনস্ক হওয়া, জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলা, মেজাজ ও স্বাভাবিক আচার-আচরণে পরিবর্তন, ব্যক্তিত্ববোধের পরিবর্তন, কর্মোদ্যম হারিয়ে ফেলা, অনিদ্রা, খাবারে অরুচি, মিলি মেন্টাল স্ট্যাটাস পরীক্ষা ইত্যাদি।
চিকিৎসা : ডিমেনশিয়া রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার করানোর প্রয়োজন নেই। তবে কখনো কখনো রোগীকে পরীক্ষা করে সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে রোগীর ডিমেনশিয়ার মূল কারণ শনাক্ত করে তার চিকিৎসা প্রদান করা। যদি রোগীর ইরিভারসিভল ডিমেনশিয়া হয়ে থাকে অর্থাৎ যেটা চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ আরোগ্য সম্ভব নয়, তখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে রোগীর নিকট আত্মীয় বা সেবা প্রদানকারীকে বিশদভাবে রোগীর রোগের বর্ণনা দিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এই রোগের প্রকৃতি, সেবার ধরন ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে ধৈর্যসহকারে আলোকপাত করতে হবে।
বিশ্বে ডিমেনশিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব : আমাদের জীবনযাত্রার পদ্ধতি ও মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডিমেনশিয়া
রোগীর সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। বর্তমান বিশ্বে এ জাতীয় রোগীর সংখ্যা ৫ কোটি। ২০৩০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৭ কোটি ৬০ লাখে এবং ২০৫০ খ্রিস্টাব্দে এর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৩ কোটি ৫০ লাখে।
বাংলাদেশে ডিমেনশিয়ার প্রাদুর্ভাব : ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশে অনুমিত ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৬০ হাজার এবং ২০৩০ খ্রিস্টাব্দে তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াবে ৮ লাখ ৩৪ হাজারে এবং ২০৫০ খ্রিস্টাব্দে সেটি হবে ২১ লাখ ৯৬ হাজার। তাই রোগের শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এই বিভাগের আরও খবর
করোনার মতো মহামারির শঙ্কা, নতুন ভাইরাস কতটা উদ্বেগের…
করোনার মতো মহামারির শঙ্কা, নতুন ভাইরাস কতটা উদ্বেগের…
চীনে নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ,বাড়ছে উদ্বেগ
চীনে নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ,বাড়ছে উদ্বেগ
কেমোথেরাপির সময় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়
কেমোথেরাপির সময় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়
বিনামূল্যে ক্যানসার টিকা দিচ্ছে রাশিয়া
বিনামূল্যে ক্যানসার টিকা দিচ্ছে রাশিয়া
প্রথমবারের মতো মানবদেহে ডাবল ফুসফুস প্রতিস্থাপন করল রোবট
প্রথমবারের মতো মানবদেহে ডাবল ফুসফুস প্রতিস্থাপন করল রোবট
বিশ্বে ৮০ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত
বিশ্বে ৮০ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত
ফ্লোরিডায় বিরল ‘মাংসখেকো’ ব্যাকটেরিয়ায় ১৩ জনের মৃত্যু
ফ্লোরিডায় বিরল ‘মাংসখেকো’ ব্যাকটেরিয়ায় ১৩ জনের মৃত্যু
১০০ বছরের প্রচেষ্টায় ম্যালেরিয়ামুক্ত মিসর
১০০ বছরের প্রচেষ্টায় ম্যালেরিয়ামুক্ত মিসর
ছড়িয়ে পড়ছে মরণব্যাধি মারবার্গ ভাইরাস, নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে
ছড়িয়ে পড়ছে মরণব্যাধি মারবার্গ ভাইরাস, নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে
ডেঙ্গুতে চব্বিশ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু
ডেঙ্গুতে চব্বিশ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮২৯ জন
ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮২৯ জন
ডিমেনশিয়া নির্ণয় এবং পরবর্তী পদক্ষেপ
ডিমেনশিয়া নির্ণয় এবং পরবর্তী পদক্ষেপ