বাংলাখবর

অনাস্থা ভোটে পদ হারালেন মার্কিন স্পিকার ম্যাকার্থি

বাংলা খবর ডেস্ক : আইনপ্রণেতাদের অনাস্থা ভোট পদ হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো স্পিকারকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পদচ্যুতের ঘটনা ঘটল।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার ভোটে ম্যাকার্থিকে স্পিকার পদ থেকে পদচ্যুত করা হয়। খবর আল জাজিরার।

ভোটাভুটিতে কেভিন ম্যাকার্থির বিপক্ষে ভোট দেন প্রতিনিধি পরিষদের ২১৬ সদস্য। তাদের মধ্যে ২০৮ জন ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলের। বাকি আটজন ম্যাকার্থির নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির সদস্য। অন্যদিকে তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২১০ আইনপ্রণেতা।

এর আগে গত সোমবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ম্যাকার্থিকে পদচ্যুত করার প্রস্তাব আনেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আরও ৪৫ দিনের জন্য চালু রাখা ও শাটডাউন এড়াতে একেবারে শেষ মুহূর্তে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে তহবিল বিল পাসের পর থেকে কেভিন ম্যাকার্থি বেশ আলোচনায় ছিলেন।

স্থানীয় সময় গত সোমবার ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত ডানপন্থী রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ম্যাট গেটজ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থিকে অপসারণের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাব পাস হতে হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সমর্থন প্রয়োজন ছিল।

কেভিন ম্যাকার্থিকে অপসারণের এ প্রস্তাব রিপাবলিকান পার্টির রক্ষণশীল অংশ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের পুরোনো বিরোধকে নতুন করে উসকে দেয়। ম্যাট তাঁর দলের অতি ডানপন্থী অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

রিপাবলিকান পার্টির এ অংশ ফেডারেল সরকারের অর্থায়ন বন্ধের উদ্যোগ ও দেশকে শাটডাউনের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। সেই সঙ্গে তারা ইউক্রেনকে মার্কিন সহায়তা দেওয়ার বিরোধী। তাদের মতে, এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে অভিবাসী ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করা যেতে পারে।

গত শনিবার গভীর রাতে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে স্টপগ্যাপ তহবিল বিলটি পাস হয়। এর মধ্য দিয়ে শাটডাউন এড়ানো সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে এই বিল আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সরকারি অর্থায়ন বজায় থাকার নিশ্চয়তা দেয়। তবে এতে ইউক্রেনের জন্য নতুন কোনো সহায়তা রাখা হয়নি।

ওই সময় স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ৪৫ দিনের এ তহবিল বিলের প্রস্তাব দেন। পরে তা কংগ্রেসের উভয় কক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস ও সিনেটে যথাক্রমে ৩৩৫-৯১ ও ৮৮-৯ ভোটে পাস হয়।