বাংলাখবর

আগামী নির্বাচনে বাইডেনকে ধসিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

বাংলা খবর ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে আবারও বাজতে শুরু করেছে নির্বাচনের দামামা। আগামী ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বেশ আগেভাগেই ভোটে প্রার্থিতা-প্রতিদ্বন্দ্বীতার জানান দিচ্ছেন অনেকেই।

আর এর মধ্যেই আগামী নির্বাচনে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধসিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনকে ধসিয়ে দেওয়ার বা চূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি তিনি নির্বাচিত না হলে যুক্তরাষ্ট্র ‘অরাজকতার’ মধ্যে পতিত হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

এএফপি বলছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ম্যানচেস্টারের একটি হোটেলে দেওয়া ভাষণে একথা বলেন ক্ষমতায় থাকার সময় দু’বার অভিশংসিত হওয়া সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। অবশ্য মাত্র দিন দু’য়েক আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২৪ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

অন্যদিকে ট্রাম্প নিজেও আগামী নির্বাচনে লড়তে চাইলেও সাম্প্রতিক সময়ে রিপাবলিকান এই নেতার আইনি সমস্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি ধর্ষণের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের আদালতে বিচারও শুরু হয়েছে। এলিজাবেথ জেন ক্যারল নামে ৭৯ বছর বয়সী সাবেক মার্কিন সাংবাদিক-কলাম লেখক ট্রাম্পকে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত করেছেন এবং আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নিউ হ্যাম্পশায়ায়ের ম্যানচেস্টারের একটি হোটেলে প্রায় দেড় হাজার সমর্থকের উপস্থিতিতে মাঝারি-মানের সমাবেশে ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে শক্তি বা দুর্বলতার মধ্যে, সাফল্য বা ব্যর্থতার মধ্যে, নিরাপত্তা বা নৈরাজ্যের মধ্যে, শান্তি বা সংঘাতের মধ্যে, এবং সমৃদ্ধি বা বিপর্যয়ের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বর্তমানে একটি বিপর্যয়ের মধ্যে বাস করছি। ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর ব্যালট বাক্সে আপনাদের ভোটের মাধ্যমে আমরা জো বাইডেন এবং হোয়াইট হাউসকে... চূর্ণ করতে যাচ্ছি, এবং আমরা আমাদের অসমাপ্ত কাজের নিষ্পত্তি করতে যাচ্ছি।’

অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২৪ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে ইতোমধ্যেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সম্পর্কিত ‘চরমপন্থিদের’ হাত থেকে আমেরিকান স্বাধীনতাকে রক্ষা করার অঙ্গীকার করেন।

জো বাইডেন ২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করেছিলেন এবং আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে যদি ট্রাম্প আবার রিপাবলিকান প্রার্থী হন, তাহলে এ দু’জনকে দ্বিতীয় বারের মতো ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে দেখা যাবে।

এদিন বাইডেন বলেন, আমি যখন চার বছর আগে প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়িয়েছিলাম, আমি বলেছিলাম যে আমরা আমেরিকার জন্য লড়াই করছি। সে লড়াই এখনও চলছে। ৮০ বছর বয়স্ক প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, এখন আত্মসন্তুষ্টির সময় নয় এবং সে জন্যই তিনি পুননির্বাচনের জন্য প্রার্থী হচ্ছেন।

তবে বাইডেন আরও চার বছর প্রেসিডেন্ট থাকার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, আমেরিকানরা তার ব্যাপারে ততটা নিশ্চিত নয়। এনবিসি নিউজের ওই জরিপে দেখা যায়, আমেরিকানদের ৭০ শতাংশ এবং ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের ৫১ শতাংশই মনে করেন বাইডেনের আবার প্রার্থী হওয়া উচিত নয়।

যারা এমনটা মনে করেন তাদের প্রায় অর্ধেকই একটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন, আর তা হলো – বাইডেনের বয়স। অবশ্য বাইডেন এখন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। তিনি যদি পুননির্বাচিত হন তাহলে দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর সময় তার বয়স হবে ৮২ বছর এবং দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় তার বয়স হবে ৮৬ বছর।

বিবিসি বলছে, মার্কিন সরকারি হিসেব মতে – ৮২ বছর-বয়স্ক একজন ব্যক্তির গড়ে আর ৬.৭৭ বছর বেঁচে থাকার আশা আছে বলে মনে করা হয়।

অন্যদিকে রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার বয়স এখন ৭৬ বছর এবং রিপাবলিকান সমর্থকদের ৩৫ শতাংশই তার বয়স নিয়ে উদ্বিগ্ন। অবশ্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমলেও তার সহযোগীরা আশাবাদী তিনি আবারও ট্রাম্পকে হারাতে পারবেন।

আবার অনেক শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকান বলেছেন, ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে এবং শেষ দু’টি মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের খারাপ ফলাফল প্রদর্শনে নেতৃত্ব দেওয়ার পরে নিজেকে আবারও পরাজিত করানোর জন্য অবস্থান তৈরি করছেন ৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্প।

নিউ হ্যাম্পশায়ারের গভর্নর ক্রিস সুনুনু গত রোববার এনবিসিকে বলেছেন, ‘রিপাবলিকানরা এমন একজনকে চায় যে ২০২৪ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে জিততে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন হেরে যাওয়া ব্যক্তি।’
 

এই বিভাগের আরও খবর

লস অ্যাঞ্জেলেসে এবার ‘আগুনে টর্নেডোর’ শঙ্কা
লস অ্যাঞ্জেলেসে এবার ‘আগুনে টর্নেডোর’ শঙ্কা

লস অ্যাঞ্জেলেসে এবার ‘আগুনে টর্নেডোর’ শঙ্কা

ট্রাম্পের অভিষেক ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ওয়াশিংটন
ট্রাম্পের অভিষেক ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ওয়াশিংটন

ট্রাম্পের অভিষেক ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ওয়াশিংটন

প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত না হলে দোষী সাব্যস্ত হতেন ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত না হলে দোষী সাব্যস্ত হতেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত না হলে দোষী সাব্যস্ত হতেন ট্রাম্প

কিউবার নাম ‘কালো তালিকা’ থেকে বাদ দিচ্ছেন বাইডেন
কিউবার নাম ‘কালো তালিকা’ থেকে বাদ দিচ্ছেন বাইডেন

কিউবার নাম ‘কালো তালিকা’ থেকে বাদ দিচ্ছেন বাইডেন

বাংলাদেশ সোসাইটির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ সোসাইটির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ সোসাইটির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত

শক্তিশালী আমেরিকা রেখে যাচ্ছি, বিদায়বেলায় বাইডেন
শক্তিশালী আমেরিকা রেখে যাচ্ছি, বিদায়বেলায় বাইডেন

শক্তিশালী আমেরিকা রেখে যাচ্ছি, বিদায়বেলায় বাইডেন

একদিকে দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, অন্যদিকে চলছে লুটপাট
একদিকে দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, অন্যদিকে চলছে লুটপাট

একদিকে দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, অন্যদিকে চলছে লুটপাট

পুতিনের সঙ্গে ‘খুব দ্রুত’ দেখা করব: ট্রাম্প
পুতিনের সঙ্গে ‘খুব দ্রুত’ দেখা করব: ট্রাম্প

পুতিনের সঙ্গে ‘খুব দ্রুত’ দেখা করব: ট্রাম্প

দাবানল আরও ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা, হুমকিতে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস
দাবানল আরও ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা, হুমকিতে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস

দাবানল আরও ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা, হুমকিতে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস

বেড়েই চলেছে দাবানলের তীব্রতা
বেড়েই চলেছে দাবানলের তীব্রতা

বেড়েই চলেছে দাবানলের তীব্রতা

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত করা বিশেষ কৌঁসুলি স্মিথের পদত্যাগ
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত করা বিশেষ কৌঁসুলি স্মিথের পদত্যাগ

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত করা বিশেষ কৌঁসুলি স্মিথের পদত্যাগ

দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, পাশে দাঁড়াল কানাডা
দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, পাশে দাঁড়াল কানাডা

দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, পাশে দাঁড়াল কানাডা